ফারুক আহমেদ সূর্য , লালমনিরহাট উপজেলা প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট সীমান্তে এলাকা থেকে ৪৫টি স্বর্ণের বারসহ ১ জন পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

মঙ্গলবার( ৩১জানুয়ারি) সকালে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর দীঘলটারী বিওপি’র অদূরে বানিয়া টারী সীমান্ত থেকে তাকে আটক করে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানান, ৩১জানুয়ারি আনুমানিক রাত ৩.০০ ঘটিকায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, সীমান্ত এলাকার দীঘলটারী বিওপি’র কুটির চর এলাকা দিয়ে স্বর্ণের একটি চালান ভারতে পাচার হতে পারে।

এ তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি অধীনায়কের নির্দেশনায় দীঘলটারী বিওপি কামান্ডারের নেতৃত্বে একটি টহল দল রাত ৩.৩০ ঘটিকা হতে বিওপি হতে আনুমানিক ২ কিলোমিটার উত্তর পুর্বদিকে সীমান্ত পিলার-৯২৫/৭-এস হতে প্রায় ৫০ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরের একটি কলা বাগানে দীর্ঘ সময় ওৎ পেতে থাকার পরে আনুমানিক সকাল ৯.১৫ ঘটিকার সময় টহল দল সোর্সের বর্ণনানুযায়ী একজনক আসতে দেখতে পায়। তাকে চ্যালেঞ্জ করলে টহল দলকে দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া দিয়ে তাকে তামাক ক্ষেত থেকে আটক করতে সক্ষম হয় টহল দলটি। এসময় আটককৃত ব্যাক্তিকে তল্লাশি করে কালো কচটেপে মোড়ানো দুটি প্যাকেট উদ্ধার করে। টহল দলটি আটককৃত ব্যাক্তি সহ প্যাকেট দুটি বিওপি ক্যাম্পে নিয়ে আসে এবং অধীনায়কের উপস্থিতিতে প্যাকেট দুটি খুললে এ থেকে ৪৫ স্বর্ণের বার দেখতে পায়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন ৫২৪৮.৭২ গ্রাম ( ৪৫০ ভরি ৩ আনা ১ রতি) এবং যার মুল্য বর্তমান বাজার অনুপাতে আনুমানিক ৪,৫০,০০,০০০/- ( চার কোটি পঞ্চাশ হাজার) টাকা বলে প্রেস রিলিজ সূত্রে জানা যায়।
আটককৃত ব্যক্তি আজিজার রহমান আদিতমারী, দুর্গাপুর বানিয়াটারী এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে বলে জানা গেছ। সে এর আগেও এমন কাজ করেছে বলে জানায়। সাাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি অধিনায়ক বলেন এর আগে কখনো লালমনিরহাটে স্বর্ণের চালান আটক হয়নি, এটাই প্রথম ঘটনা। আজিজার রহমান পেশায় একজন কৃষক উল্লেখ্য করে তিনি আরো বলেন সীমান্ত ঘেষা কৃষিজমি আবাদের সুবাদে ভারতের কৃষকের সাথে যোগসাজশ করে এমন চোরাচালান সংঘটিত হয়। আটককৃত আজিজার রহমানও সাাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন। চালানটির মালিক কে বা কার কাছে যাবে এ বিষয়ে সে কিচ্ছু জানেন না, সে বলে আমি টাকার বিনিময়ে এ কাজ করেছি। সচেতন মহলের ধারনা এই স্বর্ণ চোরাচালানের সথে একটি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেট জড়িত। দীর্ঘদিন থেকে এই রুটে চোরাচালান হয়ে আসছে। কিন্তু এবারে বিজিবি সফল হয়েছে। জানা যায় , আটক আসামির বিরুদ্ধে মামলা পরবর্তী লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় সোপর্দ করণ এবং স্বর্ণের বারগুলো লালমনিরহাট ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।